Thursday, October 23, 2025

এইমাত্র পাওয়া: ইন্তেকাল করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর

আরও পড়ুন

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তোমিইচি মুরাইয়ামা ১০১ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি ছিলেন জাপানের ইতিহাসে প্রথম এবং একমাত্র সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মুরাইয়ামা।

এনিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। তিনি বলেন, মুরাইয়ামা সেই সময়ের কঠিন অনেক সমস্যা সামাল দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। জাপানের শান্তিপ্রিয় মানুষ শান্তির এক সত্যিকার বার্তাবাহক হিসেবে তাকে মনে রাখবে।

তার জন্ম ১৯২৪ সালে কিউশু দ্বীপের ওইতা জেলায়। টোকিওর মেইজি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তিনি বামপন্থি রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন এবং পরবর্তীকালে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে কয়েক মেয়াদ দায়িত্ব পালনের পর তিনি ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো নিম্নকক্ষের সদস্য নির্বাচিত হন। মুরাইয়ামা ১৯৯৩ সালে জাপানের সমাজতন্ত্রী দলের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

আরও পড়ুনঃ  সাব-জেলে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা, সরকারের কাছে যে আহ্বান জানালেন ব্যারিস্টার আরমান

তোমিইচি মুরাইয়ামার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রক্রিয়া ছিল অনেকটা নাটকীয়। ১৯৯৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে উদার গণতন্ত্রী দল এলডিপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর আটটি বিরোধী দল মিলিত হয়ে জোট সরকার গঠন করে। সেই জোটে ভাঙন শুরু হলে একসময়ের প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজতন্ত্রী দলের সঙ্গে পর্দার আড়ালে আলোচনার মাধ্যমে ১৯৯৪ সালের জুনে এলডিপি ও সমাজতন্ত্রীদের সমন্বয়ে একটি সম্মিলিত জোট ক্ষমতায় আসে। সেই জোটেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন পান সমাজতন্ত্রী দলের সভাপতি তোমিইচি মুরাইয়ামা। এভাবেই তিনি জাপানের ৮১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন।

আরও পড়ুনঃ  বিএনপি থেকে ১০৫ জন জামায়াতে যোগদান

১৯৯৬ সালের জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব ছাড়ার আগে তার মন্ত্রিসভা বিশেষ কোনো বড় সাফল্য দেখাতে না পারলেও তিনি দুটি যুগান্তকারী পদক্ষেপের জন্য আজও দৃষ্টান্ত হিসেবে স্মরণীয়। এর মধ্যে প্রধান হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে চীন ও এশিয়ার অন্যান্য দেশে আগ্রাসনের জন্য জাপান সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া ও গভীর শোক প্রকাশ করা।

এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মুরাইয়ামার দ্বিতীয় সাফল্য ছিল হিরোশিমা ও নাগাসাকির আণবিক বোমা হামলায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া লোকজনের চিকিৎসা ও অন্যান্য সুবিধা প্রদানের একটি আইন পাস করানো। এই কারণে আণবিক বোমায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পরিবারগুলো তাকে আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে থাকে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ